পুরো দেশের নজর সাভারের একটি হাসপাতালে। যেখানে চিকিৎসাধীন দেশসেরা ব্যাটার তামিম ইকবাল। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করে সেখানে চিকিৎসাধীন তিনি। এরইমধ্যে তার হার্টে পরানো হয়েছে রিং।
তামিমের স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানাতে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালের তরফ থেকে সকালে এক ব্রিফের আয়োজন করা হয়। সেখানে বিস্তারিত জানান জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ডা. ওয়াদুদ চৌধুরী। তিনি জানান, তিন মাসের মধ্যে মোটামুটি ফিট হয়ে যাবার সম্ভবনা তামিমের। এরপর তিনি মাঠে নামতে পারবেন, খেলতেও পারবেন।
মাঠে নামার সময়টা আসলেই তিন মাস নাকি আরও বেশি হতে পারে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে চিকিৎসক জানান, তাকে যে রিং পরানো হয়েছে, তা শরীরের সাথে মানিয়ে নিতে কিছুটা সময় দিতে হবে। সাধারণত তিন মাসের মধ্যে তা হয়ে যায়।
তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানান, এই মুহুর্তে তামিমকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। তাই তাকে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কথাও হয়েছে চিকিৎসকদের। চাইলে এরপর তিনি তার পছন্দ অনুযায়ী আরও উন্নত চিকিৎসা বা রিহ্যাবলিটেশনে যেতে পারবেন।
তার পরিবারের হার্টের অসুখের ইতিহাস আছে জানিয়ে ডা. ওয়াদুদ বলেন, যাদেরই এমন পারিবারিক হিস্টোরি আছে, তারা অবশ্যই সচেতন থাকবেন। এক্ষেত্রে তিনি সৌরভ গাঙ্গুলি এবং শেন ওয়ার্নের উদাহরণও দেন।
ডা. ওয়াদুদ বলেন, তামিমকে কয়েকদিন ধীরে ধীরে হাটা-চলা করতে হবে। খুব দ্রুত সিড়ি ভাঙা যাবে না। এমনকি কয়েকদিন টয়লেটে গেলে আশপাশে কাউকে খেয়াল রাখতে হবে।
মাঠে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকে তৎক্ষণাৎ সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক এবং হাসপাতালে নেয়ার পর যারা দ্রুত তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন, তাদের ধন্যবাদ জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। বিশেষ করে সফলভাবে যিনি তামিমের হার্টে রিং পরিয়েছেন, সেই কার্ডিওলজিস্ট ডা. মনিরুজ্জামান মারুফকেও বিশেষ ধন্যবাদ জানানো হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরসহ কেপিজে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ।